এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ক্যাম্পাস ও হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢামেকের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও বৈঠকে আরও চার দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিচে সব সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হলো—
১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবৃন্দের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন;
২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সকল শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;
৩. ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস, শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাস এবং ডা. আলীম চৌধুরী ছাত্রীবাসে সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, অন্যান্য এবং নতুনভাবে গঠিত কোনো ছাত্র সংগঠন) স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;
৪. ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে ও হোস্টেলে প্রকাশ্যে বা গোপনে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি আনয়ন, চর্চা, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন ও তাতে অন্যদের আহ্বান এবং তাদের সমর্থনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রচার/প্রচারণায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস ও হোস্টেল থেকে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;
৫. তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে স্মারক নম্বর: ৫৯.১৪.৪০০০.০২৫.২৬.০০০.২৪.২৪১৬ (৫) তারিখ: ১২/০৬/২০২৪ খ্রি. মোতাবেক একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসে অবস্থান, একাডেমিক ক্লাস ও ক্যাম্পাসে আগমনের নিষিদ্ধকরণ সিদ্ধান্ত আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সর্বসম্মতিক্রমে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা আজ থেকেই হতে বলবতযোগ্য।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরীসহ একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তবে ঢামেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।